সেন্টমার্টিন দ্বীপ | Beautiful place in Bangladesh
সেন্টমার্টিন দ্বীপ
বিশ্বের অন্যতম বদ্বীপ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে দ্বীপ আর নদী । দ্বীপগুলোতে বহু মানুষ প্রকৃতির নানা প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বেঁচে থাকে। এ দেশের সেরা দ্বীপগুলোর মধ্যে সেন্টমার্টিন অন্যতম। সেন্টমার্টিন, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। যার চারপাশে সাগর আর আকাশের নীল মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে সবসময় ।
এখানে বছরজুড়ে পৃথিবীর নানা দেশের মানুষের ভিড় জমে থাকে। তারা দেখতে আসে দ্বীপের মানুষের জীবন, সমুদ্রের সঙ্গে মানুষের চমৎকার মিতালী,এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ইত্যাদি।
মানুষ যেগুলো খুজে:
=সেন্টমার্টিন ভ্রমণ খরচ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার উপায়
=সেন্টমার্টিন দ্বীপের দর্শনীয় স্থান
সেন্টমার্টিন দ্বীপ কিসের জন্য বিখ্যাত
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ম্যাপ
=-সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভিডিও
=সেন্টমার্টিন দ্বীপ হোটেল ভাড়া
সেন্টমার্টিন দ্বীপের সরকারিভাবে আয়তন কত
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ছবি
অবস্থানঃ
কি কি পাওয়া যায় এখানে:
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল ১৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ ২৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির উভচর ও ১২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে পেজালা নামে পরিচিত ঝবধ বিবফং বা অ্যালগি এক ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল সেন্ট মার্টিনে প্রচুর পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে তবে লাল অ্যালগি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ ছাড়াও রয়েছে প্রজাতির ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে কাঁকড়া লবস্টার ,শিল কাঁকড়া। সন্ন্যাসী শিল,স্পঞ্জইত্যাদি। মাছের মধ্যে রয়েছে প্রজাপতি মাছ,পরী মাছ, বোল কোরাল, রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ, উড়ক্কু মাছ ইত্যাদি।
পূর্ব কথাঃ
সেন্ট মার্টিনের প্রাচীন নাম হলো জাজিরা। স্থানীয় লোকদের কথা মতে,আরব বণিকেরা দিয়েছিল এই নাম। পরবর্তীকালে জাজিরা স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে নারিকেল জিঞ্জিরা বলে খ্যাত হয়ে ওঠে। কিন্তু পরবর্তীকালে ইংরেজরা একে সেন্টমার্টিন নামে অভিহিত করে বলে জানা যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গকিলোমিটার ও উত্তর-দক্ষিণে লম্বা। দ্বীপটি উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ৫.৬৩ কিলোমিটার লম্বা। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা, যা কখনো জোয়ারে তলিয়ে যায় এবং আবার কখনো ভাটার সময় জেগে ওঠে। মোট এগুলোকে ধরলে এর আয়তন দাড়াবে প্রায় ১০-১৫ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপের প্রস্থ কোথাও ২০০ মিটার আবার কোথাও ৭০০ মিটার। দ্বীপটির পূর্ব,দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে সাগরের অনেক দূর পর্যন্ত অগণিত শিলাস্তূপ আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের গড় উচ্চতা ধরা যায় ৩.৬ মিটার।
কিভাবে সেন্টমার্টিন যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বাসে করে কক্সবাজার যেতে হবে। কক্সবাজার থেকে ট্রলার কিংবা জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে হবে।
কোথায় থাকবেনঃ
কক্সবাজার হলো আবাসিক হোটেলের শহর। কক্সবাজার শহরের যে কোন হোটেলে রাতযাপন করা যাবে।
আরেকটি পদ্ধতিতে যাওয়া যায়
ঢাকার থেকে বাসে করে টেকনাফ যাওয়া যাবে। ঢাকার সায়েদাবাদে ও ফকিরাপুল টেকনাফের বাস পাওয়া যায়। শ্যামলী, ইউনিক হানিফ, , এস আলম, ঈগল, গ্রীন লাইন ইত্যাদি বাস থেকে টেকনাফে যাওয়া যায়। ... কক্সবাজার থেকে মাইক্রো বাস ভাড়া করেও টেকনাফ যাওয়া যায়। টেকনাফ থেকে লনচে সেন্টমার্টিন ।
কি কি দেখতে পাবেনঃ
দ্বীপে কেওড়া বন ছাড়া প্রাকৃতিক বন বলতে যা বোঝায়,তা নেই। তবে দ্বীপের দক্ষিণ দিকে প্রচুর পরিমাণে কেওড়ার ঝোপ-ঝাড় আছে। দক্ষিণ দিকে কিছু ম্যানগ্রোভ গাছ আছে। অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে কেওড়া, শ্যাওড়া,সাগরলতা, বাইন গাছ ইত্যাদি।প্রায় শত বছর আগে এখানে লোকবসতি শুরু হয়। বর্তমানে এখানে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করে। দ্বীপের লোকসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান পেশা মাছ ধরা। পর্যটক ও হোটেল ব্যবসায়ীরাই প্রধানত তাদের কাছ থেকে মাছ কেনেন। ছোট মাছ পাটিতে বিছিয়ে,পিটকালা মাছ বালুতে বিছিয়ে এবং বড় জাতের মাছ পেট বরাবর ফেড়ে মাচায় শুকানো হয়। এ ছাড়াও দ্বীপবাসী অনেকে মাছ, নারিকেল,পেজালা এবং ঝিনুক ব্যবসা করে। ছোট ছোট শিশুরা দ্বীপ থেকে সংগৃহীত শৈবাল পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে থাকে। সম্পূর্ণ সেন্ট মার্টিন দ্বীপেই প্রচুর নারিকেল এবং ডাব বিক্রি হয়। মিয়ানমারের আরাকন থেকে বাংলাভাষী রোহিঙ্গাদের দ্বীপ অঞ্চলে প্রায়শই দেখা যায়। প্রতি বছর বিশ্বের নানা দেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক এখানে বেড়াতে আসে। তারা সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপলব্ধি করে। কোনো কোনো পর্যটক ধারণা করেন,সেন্ট মার্টিন বিশ্বের সেরা দ্বীপের একটি।