টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার | টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা

 টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ 

টাইফয়েড হলো একধরণের ভাইরাস জনিত জ্বর। এই জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত পানি কিংবা খাবার গ্রহণ বা এই ব্যাকটিরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বা যোগাযোগের কারণে হয়ে থাকে।(টাইফয়েড জ্বর)



টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ,টাইফয়েড রোগীর যত্ন,টাইফয়েড রোগীর খাবার,টাইফয়েড জ্বরের টেস্ট,টাইফয়েড এর ক্ষতিকর দিক,প্যারা টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ,টাইফয়েড জ্ব



টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণসমূহঃ

(টাইফয়েড জ্বর)

কিভাবে টাইফয়েড জ্বর সনাক্তকরণ করা হয়?

টাইফয়েড প্রতিরোধ করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ, স্বাস্থ্যগত সতর্কতা অবলম্বন করলে টাইফয়েড প্রতিরোধ করাও সম্ভব। এর জন্য আপনার যা যা করণীয় তা হলো :


* সব সময় আগুনে ফোটানো পানি পান করা।


* রাস্তার পাশ থেকে কোনো খাবার না খাওয়া।


* বাসি খাবার থেকে দূরে থাকা।

মঙ্গল 2020 মিশন | webjana Stories

* রেস্তোরাঁয় কিংবা হোটেল খোলা অবস্থায় রাখা কোনো খাবার খাওয়া বা গ্রহণ না করা।


* কাঁচা ডিম কিংবা কাঁচা দুধ  কিংবা অর্ধসেদ্ধ ডিম না খাওয়া।


*  সবসময়  টাইফয়েড প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ করা।(টাইফয়েড জ্বর)


সাধারণত রোগ-জীবাণু শরীরে প্রবেশের ১০ থেকে ১৪ দিন পর রোগের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ হতে শুরু করে। জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ যা প্রথম চার থেকে পাঁচ দিন জ্বর বৃদ্ধি পায় বা জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো আবার কমে; তবে কোনো সময় কিন্তু সম্পূর্ণ ছেড়ে যায় না। এর প্রধান প্রধান লক্ষণসমূহ নিচে দেওয়া হলো:



  • গা ম্যাজ ম্যাজ হওয়া  সহ রোগীর কফ বা কাশি হতে পারে ।
  • প্রচণ্ড পেটেরে ভেতর ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
  • দ্বিতীয় সপ্তাহ বা সেকেন্ড উইকে রোগীর পিঠে ও পেটে   গোলাপি রঙের দানা দেখা দিতে পারে।
  • কারো কারো আবার জ্বরের সঙ্গে কাশি হয়।
  • আপনার ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত টানা জ্বর দেখা দিতে পারে।
  • ক্ষুধামন্দা হওয়া সহ কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে যেতে পারে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া কিঙবা বমি হতে পারে।
  • হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন অনেক কমে যেতে পারে।
  • জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা,মাথাব্যথা  ও শারীরিক দুর্বলতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
  • ওষুধ চলা অবস্থায়ও সপ্তাহ খানেক জ্বর শরীরে থাকতে পারে।


পরীক্ষা নিরীক্ষার পর একমাত্র চিকিৎসকগণ বলতে পারবেন যে কারও টাইফয়েড জ্বর হয়েছে কিংবা না। আপনার টাইফয়েড দ্রুত সনাক্ত করার জন্য ব্লাড কালচার নামক একধরণের রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। যদি কিনা নমুনায় স্যালমোনেলা নামক একধরণের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে প্রকার ভেদে প্যারা- টাইফয়েড ও  টাইফয়েড  পার্থক্য করা হয়। এছাড়া জ্বর হওয়ার ২য় সপ্তাহে “উইডাল টেস্ট” নামে এক ধরনের ননস্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট করতে হয় যাতে টাইটার দেখে টাইফয়েড নির্ধারণ করা হয়। 

মঙ্গল 2020 মিশন | webjana Stories



টাইফয়েড জ্বর বাংলাদেশে খুবই সচরাচর একটি রোগ এবং স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া বাহিত দূষিত খাবার গ্রহণ বা পানি পানের মাধ্যমে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে বসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।(টাইফয়েড জ্বর)




মঙ্গল 2020 মিশন | webjana Stories


টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া বহন করে। এছাড়াও টাইফয়েড জ্বর হতে আরোগ্য লাভ করেছেন কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া বহন করছেন এমন কিছু সংখ্যক ব্যক্তিও এই রোগের বাহক হতে পারে।


টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া বহনকারী উভয় ধরনের ব্যক্তিরাই মলত্যাগের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার ঘটিয়ে থাকে।


পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা যথাযথ না হলে এবং তার ফলে টাইফয়েড রোগীর মলত্যাগের পর এই ব্যাকটেরিয়া পানির সংস্পর্শে আসলে এবং পরবর্তীতে এই দূষিত পানি খাবারে ব্যবহৃত হলে অথবা টাইফয়েড জ্বরের ব্যাকটেরিয়া বহন করছে এমন কোন ব্যক্তির স্পর্শকৃত বা হাতে বানানো খাবার গ্রহণ থেকেও টাইফয়েড জ্বর সংক্রমিত হতে পারে।



টায়ফয়েড সংক্রমিত (সংক্রমিত ব্যক্তির মল ও মূত্র দ্বারা) খাদ্য বা জল পানের দ্বারা ছড়ায়। ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে স্যানিটেশনের অভাব এবং ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি অন্তর্ভুক্ত। উন্নয়নশীল বিশ্বের যারা ভ্রমণ করে, তারাও ঝুঁকির মাঝে আছে। শুধুমাত্র মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। ব্যাক্টেরিয়া কালচারের মাধ্যমে, অথবা রক্ত, মল বা অস্থি বা মজ্জার মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ (DNA) শনাক্ত করে এ রোগ নির্ণয় করা হয়। অস্থি মজ্জার টেস্টিং সবচেয়ে সঠিক। (টাইফয়েড জ্বর)

মঙ্গল 2020 মিশন | webjana Stories


টাইফয়েড থেকে কী কী সমস্যা হতে পারে?(টাইফয়েড জ্বর)


টাইফয়েডের ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। রোগীর সাধারণত যে সমস্যাগুলো ঘটতে পারে তা হলো :


* ক্ষুদ্রান্ত্রে রক্তক্ষরণ কিংবা ক্ষুদ্রান্ত্র ফুটো হয়ে যাওয়া (যাকে চলতি বাংলায় আমরা নাড়ি ফুটো হওয়া বলি)।


* মেনিনজাইটিস।(টাইফয়েড জ্বর)


* পিত্তথলির প্রদাহ।


* হৃৎপিণ্ডের পেশির প্রদাহ।


* কিডনির প্রদাহ।


* অস্থি ও অস্থিসন্ধিতে ইনফেকশন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url