খোদা শব্দের অর্থ কি | উত্তর জেনে নিন
খোদা শব্দের অর্থ কি
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
জবাবঃ-
ইসলামের পূর্বে সাধারণত মুশরিকরা আল্লাহ শব্দ দ্বারা তারা তাদের মা'বুদকে উদ্দেশ্য করত,কিন্তু পরবর্তিতে ইসলাম আল্লাহ শব্দকে বিসর্জন দেয়নি, তবে ইসলাম মুশরিকানা সমস্ত বৈশিষ্ট্যাবলী বা সিফাতকে বিসর্জন দিয়ে আল্লাহ শব্দের জন্য শিরিকমুক্ত ব্যখ্যা প্রদান করেছে।ঠিক তেমনিভাবে ইহুদী-খৃষ্টানরাও তাদের মা'বুদকে বুঝাতে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করত,তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ
ـ ’’ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫَﺎﺩُﻭﺍ ﻭَﺍﻟﻨَّﺼَﺎﺭَﻯ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﺑِﺌِﻴﻦَ ﻣَﻦْ ﺁﻣَﻦ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪ ﻭَﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﺍﻵﺧِﺮِ ﻭَﻋَﻤِﻞَ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﻓَﻠَﻬُﻢْ ﺃَﺟْﺮُﻫُﻢْ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻭَﻻ ﺧَﻮْﻑٌ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻ ﻫُﻢْ ﻳَﺤْﺰَﻧُﻮﻥَ "
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে "আল্লাহর" প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।সূরা বাক্বারা-৬২
উক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে ইহুদী নাসারাদের মধ্যে যারা সেই সময়ে আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে তারা জান্নাতী।
তাই খোদা শব্দকে আল্লাহ শব্দর অনুবাদ হিসেবে ব্যবহার করতে কোনো প্রকার বিধি-নিষেধ নেই।
You Ask:
খুদা শব্দের অর্থ কি
খোদা বলা যাবে কি
খুদা অর্থ কি
খোদা বলা কি শিরক
কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
وَلِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ فَادْعُوهُ بِهَا ۖ وَذَرُوا الَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِي أَسْمَائِهِ ۚ سَيُجْزَوْنَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
-আল্লাহ্র অনেক সুন্দরতম নাম আছে; সুতরাং তোমরা সে সব নামেই তাঁকে ডাকো। এবং তাঁর নাম রাখার ব্যাপারে যারা সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় তাদেরকে বর্জন কর৷ তারা যা কিছু করে এসেছে ৷ তার ফল অবশ্যি পাবে৷ [সূরা আরাফ ১৮০]
Our Another Blog : টাচস্ক্রিন কি এবং কিভাবে কাজ করে? Web Jana
তাই মুসলিদের উচিত তাদের ইলাহকে কুরআন ও হাদিস হতে তাঁদের রবের যে সব নাম পাওয়া যায় তাই বলে ডাকা এবং সেটাই উত্তম ও উৎকৃষ্টতর । আল্লাহ সুবাহানাহু তা’আলা বলেন,
-তোমরা কি উৎকৃষ্টতর বস্তুকে নিকৃষ্ট বস্তুর সাথে বদল করতে চাও? [সূরা-বাকারাহ ৬১]
খোদা শব্দটি ফারসী শব্দ, যার অর্থ স্বয়ম্ভু বা যিনি নিজেই সৃষ্ট। আল্লাহ্র রসুল ﷺ আল্লাহ রব্বুল আলামীনের যে ৯৯টি নামের কথা বলেছেন তার মধ্যে এ ধরনের কোন অর্থ নেই। খোদার ফারসী যে অর্থ তা আল্লাহ্র ৯৯ নামের মধ্যে নেই। এ ছাড়াও আল্লাহ্র যে সব নাম বা সিফাত কোরআন ও হাদীসে উল্লেখ আছে তার অর্থ খোদার অর্থের সাথে মিলে না। মহান আল্লাহ নিজেকে স্বয়ম্ভু বা খোদা অর্থে নামকরন করেননি। রসুল ﷺ এ ধরনের কোন অর্থে আল্লাহ্র পরিচয় দেননি।
→ খোদা শব্দের উৎপত্তি ও এর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে তা দিত্ববাদের আক্বীদা-বিশ্বাস। প্রাচীন পারসিকদের দু’জন খোদা ছিল একজন মঙ্গলের, অপরজন অমঙ্গলের। খৃষ্টানদের ত্রিত্ববাদ এবং হিন্দুদের বহুদেববাদ -এসব বাদই ইসলামের একত্ববাদের বিপরীত।
.
মহান আল্লাহর অনেক সুন্দর নাম আছে । সে সব নামে তাঁকে না ডেকে অন্য সব অসংগত বা বেমানান নামে তাঁকে ডাকা বা নামকরণ করা হলে তাঁর অস্তিত্বের অমর্যাদা করা হয়, তাঁর নামের মাহাত্ম্ ক্ষুন্ন করা হয়।
আল্লাহ সেই সমস্ত মহা-মনিষীদের সমস্ত চেষ্টাকে কবুল করুক।আমীন।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
Our Another Blog : টাচস্ক্রিন কি এবং কিভাবে কাজ করে? Web Jana
তাই খোদা শব্দকে আল্লাহ শব্দর অনুবাদ হিসেবে ব্যবহার করতে কোনো প্রকার বিধি-নিষেধ নেই।
আল্লাহ সেই সমস্ত মহা-মনিষীদের সমস্ত চেষ্টাকে কবুল করুক।আমীন।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।