শৈশবস্মৃতি রচনা HSC ৫ম ৬ষ্ট ৭ম ৮ম ৯ম ও ১০ম শ্রেণির জন্য

শৈশবস্মৃতি  রচনা হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এটি একটি খুব সংক্ষিপ্ত এবং সহজ অনুচ্ছেদ রচনা। আমি মনে করি আপনি এটা আপনার জন্য পছন্দ করবেন। এই অনুচ্ছেদ রচনা মাত্র কিছু শব্দের। সমস্ত শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীরা এটি পড়তে এবং মনে রাখতে পারবে।


উক্ত রচনা পড়ে তোমরা অনেক কিছু ‍শিখতে পারবে। তাই শৈশবস্মৃতি অনুচ্ছেদ রচনা সম্পৃর্ণ পড়ার চেষ্টা করবে।

 


শৈশবস্মৃতি রচনা


শৈশব মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময়ের আনন্দ-বেদনা সবই হয়। শর্তহীন, অকৃত্রিম। শৈশবস্মৃতি তাই সবার কাছেই মধুময়। শৈশবের স্মৃতি। রােমন্থন করে আবেগতাড়িত হতে ভালােবাসে সকলেই আমার শৈশব। জীবনের স্মৃতিও অত্যন্ত মনােহর। আমার জন্ম যমুনা নদীতীরে ছায়াঢাকা। এক গ্রামে। শৈশব কেটেছে গ্রামীণ উন্মুক্ত পরিবেশে। গ্রামের অবারিত মাঠ, নদীতীর, বিদ্যালয় ইত্যাদিতে জড়িয়ে আছে শত স্মৃতি। সেই স্মৃতি এখনাে উজ্জ্বল। বর্ষাকালে বাড়ির পেছনের বিশাল ফসলের মাঠটি পরিণত হতাে দিক-চিহ্নহীন বিলে । ছােট্টো ডিঙিতে চড়ে তার বুকে ভেসে ভেসে মাছ ধরা। আর শাপলা তােলার স্মৃতি কখনাে ভােলার নয়। গ্রীষ্মে আম-জাম-কাঠালের গাছগুলােই যেন হয়ে উঠত আমাদের ঘরবাড়ি। শীতকালে মায়ের গা ঘেষে গরম গরম পিঠা খাওয়ার অভিজ্ঞতার সত্যিই কোনাে তুলনা নেই। গ্রামের সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমস্বরে নামতা পড়া, খেলার মাঠে সারা বিকেল দৌড়ঝাপ বা বাড়ির পুকুরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাপাদাপি করে শৈশব কেটেছে আমার। 


বিভিন্ন উৎসবে আনন্দ যেন কোনাে বাধ মানত না। তবে কিছু বেদনার স্মৃতিও রয়েছে। দুষ্টমির জন্য হেডস্যারের কড়া বকুনি বা বাবার। হাতে মারও খেয়েছি বহুবার। কিন্তু আজকের দিনে এসে সেই স্মৃতিগুলােকেই বড়াে মধুর মনে হয়। কেবল ইচ্ছে হয়, আহা! যদি একটিবার ফিরে যেতে পারতাম সেই সময়ে। কিন্তু তা তো আর হওয়ার। নয়। স্মৃতিগুলােই এখন আমার একমাত্র সম্বল সেগুলােকে রােমান সেই দুরন্ত শৈশবের কল্পনায় হারিয়ে যাই প্রায়ই।


অনুচ্ছেদ রচনা:



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url