গুজব রচনা *New* (সকল শ্রেণির জন্য)

 গুজব সম্পর্কে এটি একটি সুন্দর অনুচ্ছেদ রচনা। এটি একটি খুব সংক্ষিপ্ত এবং সহজ অনুচ্ছেদ রচনা। আমি মনে করি আপনি এটা পছন্দ করবেন। এই অনুচ্ছেদ মাত্র কিছু শব্দের। সমস্ত শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীরা এটি পড়তে এবং মনে রাখতে পারবে।


গুজব রচনা


জনরব শব্দের যথার্থ প্রতিশব্দ ‘গুজব’ গজব একটি প্রচলিত বাংলা শব্দ।

তন বর্ণের এই শব্দটির ব্যঞ্জনা কখনাে কখনাে হয়ে উঠে অপ্রতিরােধ্য। | মার্ক টোয়েন একবার বলেছিলেন, “সত্য তার জুতার ফিতে বাঁধতে বাধতে গুজব বা মিথ্যে সমস্ত পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আসতে সক্ষম বহুকাল আগে থেকেই নানা কারণে গুজব ছড়িয়েছে মহামারি আকারে। তবে অতীতের তুলনায় বর্তমানে গুজবের বিস্তার তড়িৎ গতিতে হয়। কারণ হিসেবে এ দায় যায় প্রযুক্তির ওপরই। প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের সময়কালে সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমের বিস্তার ও প্রভাবের কারণে গুজব ছড়াচ্ছে। চকিতে শেয়ার বা পােস্ট করতে যতটুক সময় প্রয়ােজন গুজব ছড়াতেও ঠিক ততটুকু সময়ের প্রয়ােজন। সামাজিক যােগাযােগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া যে কোনাে তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই ছাড়াই তা ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও সমাজেও। এরপ যাচাই-বাছাইহীন তথ্যের ছড়াছড়িতে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে মহামারি আকারে। এই সকল গুজবের ফলে। ব্যক্তিবিশেষ থেকে কালেভদ্রে রাষ্ট্রকেও চড়া দাম দিতে হয়। ফলে রাষ্ট্র, সমাজ ও বিচারব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এমআইটির তিনজন গবেষক গুজব ছড়ানাের বিষয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা। করেছেন। গবেষণা থেকে জানা গেছে কী কী কারণে গুজব একটি নেতিবাচক বিষয় হলেও তা মানুষের কাছে দ্রত গ্রহণযােগ্যতা পায়। কারণগুলাে হলাে অনিশ্চিত পরিস্থিতি, উদ্বেগ, ভুল বা বিভ্রান্তিকর সরস। তথ্য, অস্পষ্টতা ও সামাজিক অবস্থান। তবে প্রতিটি সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব হয় সময়ােপযােগেী ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রের যেমন তার জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে তেমনি জনগণের দায়িতশাল। আচরণই পারে একটি সুস্থ-সুন্দর ও নিরাপদ সামাজিক বলয় তৈরিতে গরতুপর্ণ ভূমিকা রাখতে। প্রতিটি ঘটনার তথ্য সুনিপুণভাবে যাচাই-বাছাই করে তবেই সেটার প্রকাশ ঘটানাে একটি সচেতন নাগরিক শুভলার পরিচায়ক। একটি ভুল বার্তা বয়ে আনতে পারে অপরিসীম দশা।(গুজব রচনা)


অনুচ্ছেদ রচনা:



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url