স্বদেশ প্রেম রচনা (ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম শ্রেণি অষ্টম শ্রেণি নবম শ্রেণি দশম শ্রেণি) সবার জন্য | স্বদেশ প্রেম

 
স্বদেশ প্রেম রচনা

স্বদেশ প্রেম রচনা  (ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম শ্রেণি অষ্টম শ্রেণি নবম শ্রেণি দশম শ্রেণি)  সবার জন্য


সৃষ্টির সেই আদি লগ্ন থেকে মানুষ যখন জীবনধারণের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে শিখলো, সেই দিন থেকে এই পৃথিবীর বুকে জাতির গোড়াপত্তন হয়ে গিয়েছিল। তারপর সময়ের বিবর্তনে মানুষ খাদ্য সংগ্রহকারী থেকে খাদ্য উৎপাদনকারীর পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, সেই সঙ্গে মানুষের যাযাবর তকমা ঘুচে গিয়ে মানুষ শিখেছে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করতে।(স্বদেশ প্রেম রচনা  (ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম শ্রেণি অষ্টম শ্রেণি নবম শ্রেণি দশম শ্রেণি)  সবার জন্য)

কোন নির্দিষ্ট জায়গায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের সাথে সাথে সুপ্রাচীন যুগে গড়ে ওঠা ঐক্যবদ্ধ জাতি সময়ের এবং সুযোগের সঙ্গে আরও বিকশিত হয়েছে। দীর্ঘদিন কোন একটি নির্দিষ্ট ভূমিতে বংশানুক্রমে জীবনযাপনের ফলে সেই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সভ্যতা; যা সময়ানুক্রমে স্বদেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই স্বদেশে নিয়ত জীবনযাপনকারী মানুষের জন্মভূমির প্রতি আবেগ পরিচিতি পেয়েছে স্বদেশ প্রেম রূপে।(স্বদেশ প্রেম রচনা  (ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম শ্রেণি অষ্টম শ্রেণি নবম শ্রেণি দশম শ্রেণি)  সবার জন্য)

কয়েকটি ভালো শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকার - Child Doctor

পৃথিবীর প্রতিটি বিষয়েরই ভাল ও মন্দ দুটি দিক রয়েছে। সাধারণ মানুষের পরম আবেগ স্বদেশ প্রেমও তার ব্যতিক্রম নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে শঙ্খিনী এবং প্রগতিশীল এই দুই ধরনের স্বদেশপ্রেম লক্ষ্য করা যায়। ইতিহাসের এই সংকীর্ণ এবং প্রগতিশীল স্বদেশ প্রেম সম্পর্কে জানার পূর্বে শান্তিপূর্ণ স্থিতির জন্য প্রাথমিক শর্তাবলীকে জানা প্রয়োজন। এ পৃথিবী পরিচালিত হয় মানুষের মানুষের পারস্পরিক সহযোগিতার নীতি দ্বারা।(স্বদেশ প্রেম রচনা  (ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম শ্রেণি অষ্টম শ্রেণি নবম শ্রেণি দশম শ্রেণি)  সবার জন্য)


আমি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি ছোট দেশ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের একজন বাসিন্দা। এ পৃথিবীর অন্যান্য যেকোনো মানুষের মতই নিজের দেশের প্রতি আমার অতুলনীয় স্বদেশ প্রেম বর্তমান। আমি আমার দেশকে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি; শ্রদ্ধা করি আমার দেশের ইতিহাস, সমাজ তথা সংস্কৃতিকে।(স্বদেশ প্রেম রচনা  (ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম শ্রেণি অষ্টম শ্রেণি নবম শ্রেণি দশম শ্রেণি)  সবার জন্য)

আমার দেশের ইতিহাস আমায় প্রতিনিয়ত শেখায় জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করতে, আমার দেশের প্রকৃতি আমায় শেখায় জীবনের স্নেহময় হয়ে উঠতে, আমার দেশের সমাজ আমায় শেখায় জীবনের অবিরত সংগ্রামে জয়ী হয়ে উঠতে। একথা সত্য যে বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য অংশের তুলনায় স্বদেশ প্রেমের ব্যাপারে খানিকটা বেশিই আবেগপ্রবণ।(স্বদেশ প্রেম রচনা  (ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম শ্রেণি অষ্টম শ্রেণি নবম শ্রেণি দশম শ্রেণি)  সবার জন্য)

কয়েকটি ভালো শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকার - Child Doctor

স্বদেশপ্রেম_ও_বিশ্বপ্রেম :


স্বদেশপ্রে বিশ্বপ্রেমেরই একটি অংশ। তাই প্রকৃত স্বদেশপ্রেম ও বিশ্বপ্রেমের মধ্যে কোনো বিরোধ থাকতে পারে না। স্বদেশপ্রেম যদি বিশ্বমৈত্রী ও আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্বের সহায়ক না হয় তবে তা প্রকৃত দেশপ্রেম হতে পারে না। স্বদেশবাসীকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে মানুষ বিশ্ববাসীকে ভালোবাসতে শেখে। বিশ্বজননীর বুকের আঁচলের ওপর যে দেশজননীর ঠাঁই রবীন্দ্রনাথ তাঁর অমর বাণীতে বলে গেছেন সে কথা :
ও আমার দেশের মাটি, তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা
তোমাতে বিশ্বময়ীর- তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা।
স্বদেশপ্রেমের সঙ্গে বিশ্বমৈত্রীর গভীর যোগসূত্র আছে বলেই রবীন্দ্রনাথ, শেকসপিয়র, আইনস্টাইন কেবল স্ব-স্ব দেশের নন, তাঁরা সমগ্র মানব জাতির।

দেশপ্রেমের_উজ্জ্বল_প্রতিভূ :


দেশে দেশে যাঁরা দেশপ্রেমের উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করে বরণীয় স্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁরা সারা বিশ্বের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যেসব বাঙালি অসামান্য অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে নেতাজী সুভাষ বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ, এ. কে. ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী প্রমুখ চিরদিন আমাদের প্রেরণা হয়ে থাকবেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বহু রাষ্ট্রনায়ক দেশ ও জাতিকে নবচেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। ইতালির গ্যারিবাল্ডি, আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, রাশিয়ার লেনিন, চীনের মাও সেতুঙ, ভিয়েতনামের হো. চি. মিন, তুরস্কের মোস্তফা কামাল পাশা, ভারতের মহাত্মা গান্ধী প্রমুখ দেশপ্রেমের জন্যেই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের দেশপ্রেম বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।

উপসংহার :

দেশপ্রেম মানুষের জীবনের অন্যতম মহৎ চেতনা। তা মানুষকে স্বার্থপরতা, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত সংকীর্ণতা, রাজনৈতিক মতাদর্শগত ভেদাভেদ থেকে উর্ধ্বে উঠতে সহায়তা করে। উদ্বুদ্ধ করে দেশের কল্যাণে স্বার্থত্যাগ করে আত্মনিবেদনে। তাই ক্ষমতার লোভ ও দলীয় স্বার্থ চিন্তা কখনো সত্যিকার দেশপ্রেম হতে পারে না। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। একুশ শতকের পৃথিবীতে বিশ্ব সভায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্যে আজ দরকার দেশগঠনের কাজে সকলকে উদ্বুদ্ধ ও সমবেত করা। এজন্যে চাই ঐক্যবদ্ধ দেশব্রতী জাতীয় জাগরণ। তাহলেই দেশ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারায় অগ্রসর হতে পারবে। দেশগঠনে আমরা যেন শুভ চিন্তা ও ত্যাগের আদর্শ স্থাপন করতে পারি।


Next Post Previous Post
1 Comments
  • Information Send
    Information Send ২৭ আগস্ট, ২০২১ এ ৫:৩৬ PM

    Very Good

Add Comment
comment url