সহজ গরুর রচনা (দ্বিতীয় শ্রেণি তৃতীয় শ্রেণি চতুর্থ শ্রেণি) সবার জন্য |

 গরুর রচনা 
গরুর রচনা চতুর্থ শ্রেণীর গরুর রচনা বল গরুর রচনা ইংরেজিতে মজার গরুর রচনা গরুর রচনা ইংলিশে গরুর রচনা শোনাও গরুর রচনা ৫ম শ্রেণী গরুর রচনা অসমীয়া



চলুন দেখে আসি আমাদের প্রিয় গরুর রচনা


ছোটদের সহজ গরুর রচনা

1. গরু একটি চার পা বিশিষ্ট গৃহপালিত পশু।

2. গরু সাহায্যে আমরা আমাদের জমি চাষ, মালপত্র পরিবহণ ইত্যাদি করে থাকি।

3. গরুর সমস্ত শরীর ছোট এবং ঘন লোমে আবৃত থাকে।

4. গরু একটি শান্তশিষ্ট এবং নিরীহ প্রাণী।

5. গরুর দুই চোখ, দুই কান, দুই শিং,একটি দীর্ঘ মাথা এবং পিছনে একটি লেজ থাকে।

6. গরুর দুধ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।

7. পৃথিবীতে সাদা, কাল, লাল বিভিন্ন রঙের গরু পাওয়া যায়।

8. ঘাস খড় গাছের পাতা ইত্যাদি গরুর প্রধান খাদ্য।

9. গরু মানুষের বিভিন্ন কাজে আসে।

10. আমাদের সবাইকে গরুর প্রতি সদয় ও যত্নশীল হওয়া দরকার ।

(সহজ গরুর রচনা (দ্বিতীয় শ্রেণি তৃতীয় শ্রেণি চতুর্থ শ্রেণি) সবার জন্য)

ছাগল পালন পদ্ধতি | সবচেয়ে সহজ উপায়

বড়দের গরুর রচনা

গরু হল একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। এর দুই জোড়া পা ও একটি লেজ থাকে। এই প্রাণীটির পুরুষ রূপকে আমরা ষাঁড় বলে চিনি। ষাঁড়ের পিঠে সাধারণত কুঁজ থাকে এবং তাছাড়া এই প্রাণীটির মাথার উপরে একজোড়া শিং আমরা দেখতে পাই।

গরু মূলত একটি তৃণভোজী প্রাণী। মাঠের সবুজ ঘাস এর প্রিয় খাদ্য। তাছাড়া এই প্রাণীটিকে খড় কিংবা বিচুলিও খাওয়ানো হয়ে থাকে। গরুর পেটে চারটি পাকস্থলী বর্তমান। এইগুলি গরুর খাবার হজমে সাহায্য করে। প্রাণী হিসেবে গরু খুবই শান্ত প্রকৃতির।


সভ্যতার শুরু থেকেই পৃথিবীতে জন্তু জানোয়ার এবং মানুষ একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়েই বেঁচে আছে। সেই অতীতকাল থেকে যে সমস্ত প্রাণী মানুষের পোষ মেনে মানুষের ঘরে পালিত হয়েছে এবং জীবনের বহু ক্ষেত্রে মানুষকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করেছে তাদেরকে আমরা গৃহপালিত পশু বলে জানি। ইতিহাসে আমরা দেখেছি গাধা, ঘোড়া, কুকুর প্রভৃতি প্রাণীরা জীবনের বিভিন্ন কাজে মানুষকে সাহায্য করেছে।

ছাগল পালন পদ্ধতি | সবচেয়ে সহজ উপায়

ঘোড়া যেমন প্রধানত যাতায়াতের কাজে মানুষের বাহন হয়েছে, তেমনই গাধাকে দিয়ে মানুষ নিজের মাল বইয়েছে। গৃহপালিত পশুদের এই তালিকায় একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম হল গরু। সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষের জীবনে এমন কোনো ক্ষেত্র পাওয়া দুষ্কর যেখানে গরুর ভূমিকা নেই। তাই গরু হল এই পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গৃহপালিত পশু।


ভাষা : গরুর একটি নিজস্ব ভাষা রয়েছে। পৃথিবীর সকল গরু সাধারণত হাম্বা ভাষায় কথা বলে।

(সহজ গরুর রচনা (দ্বিতীয় শ্রেণি তৃতীয় শ্রেণি চতুর্থ শ্রেণি) সবার জন্য)

মানুষের জীবনে হয়তো গরুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল দুধের জোগান দেওয়া। গরুর দুধ মানুষের কাছে একটি অন্যতম সহজলভ্য পুষ্টিকর খাদ্য। চিকিৎসকেরা গরুর দুধকে শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাছাড়া আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নির্বিশেষে সকলে গরুর দুধকে প্রতিদিনকার খাদ্য রূপে গ্রহণ করে থাকেন।

এই দুধ পৃথিবীর অন্যান্য বিভিন্ন দ্রব্য তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। দুগ্ধজাত দ্রব্য ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীজুড়ে নানা বৃহৎ বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে। সর্বোপরি আমাদের সবার অত্যন্ত পছন্দের সুস্বাদু মিষ্টি উৎসও হলো এই দুধ।

খাদ্য : গরুর প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে সবুজ ঘাস এবং খড়। ঘাসকে গরু চিকেন ফ্রাই এবং খড়কে সেমাই হিসেবে মনে করে।

উপকারিতা : গরু খুব ভালো গাড়ি চালাতে পারে। কারণ গরুর গাড়িতে কোনো ব্রেক না থাকলেও এখন পর্যন্ত গরুর গাড়ি দ্বারা কোনো সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

অপকারিতা : গরুর তেমন কোনো অপকারিতা নেই। তবে একটাই প্রবলেম, যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে পরিবেশ দূষিত করে এরা।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, গুরু গৃহপালিত পশু হলেও এর আচরণ পশুর মতো নয়। কারণ কোনো গরুকে এখন পর্যন্ত ইভটিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত হতে দেখা যায়নি। সুতরাং গরু একটি নম্র-ভদ্র স্বভাবের প্রাণী।

আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন






আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন


Next Post Previous Post
1 Comments
  • Sahariar Kabir Joy
    Sahariar Kabir Joy ২৭ আগস্ট, ২০২১ এ ৩:২৫ PM

    ভাইয়া, অনেকদিন পর গরুর রচনা পড়লাম।

Add Comment
comment url