জাতীয় স্মৃতিসৌধ রচনা ৫ম ৬ষ্ট ৭ম ৮ম ৯ম ও ১০ম শ্রেণির জন্য

  জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনুচ্ছেদ রচনা হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ রচনা । এটি একটি খুব সংক্ষিপ্ত এবং সহজ অনুচ্ছেদ রচনা। আমি মনে করি আপনি এটা আপনার জন্য পছন্দ করবেন। এই অনুচ্ছেদ রচনা মাত্র কিছু শব্দের। সমস্ত শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীরা এটি পড়তে এবং মনে রাখতে পারবে।

 

 জাতীয় স্মৃতিসৌধ রচনা

জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত একটি স্মারক স্থাপনা। এটি ঢাকা শহর থেকে ২৫ কিলােমিটার দুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নবীনগরে অবস্থিত ।। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে এখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। বিদেশি রাষ্ট্রনায়কেরা সরকারি সফরে বাংলাদেশে আগমন করলে এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা এখানে স্মারক হিসেবে বৃক্ষরােপণ করে থাকেন। এই স্মৃতিসৌধ আপামর জনসাধারণের বীরত্বপূর্ণ লড়াই এবং মুক্তিযুদ্ধের শহিদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধর উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এর স্থপতি হলেন সৈয়দ মাইনল। হােসেন। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। সৌধটি সাতটি ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত। এলাকাটির ক্ষেত্রফল ১০৮.৭ একর ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্মৃতিসৌধটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। 


মল স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ ১৯৮২ সালের বিজয় দিবসের কিছুদিন আগে শেষ হয়। এই স্মৃতিসৌধ সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক এবং মুক্তিযােদ্ধাদের বিজয় ও সাফল্যের যুগলবন্দি রচনা করেছে এর এটি ফলক স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি পর্যায়ের নিদর্শন বলতেন | পর্যায় হলাে— ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন ১৯৫৬-এর শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২'র শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ র ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই স্তম্ভের পাশাপাশি স্মৃতিসৌধ চত্বরে আছে মাতৃভামর জন্যে আত্মােৎসর্গকারী অজ্ঞাতনামা শহিদদের দশটি গণসমাধি। সমগ্র জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত এই সারক স্থাপনা জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল ।( জাতীয় স্মৃতিসৌধ রচনা)



অনুচ্ছেদ রচনা:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url