জাতীয় শােক দিবস রচনা *৫ম ৬ষ্ট ৭ম ৮ম ৯ম ও ১০ম শ্রেণির জন্য*
জাতীয় শােক দিবস অনুচ্ছেদ রচনা হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ রচনা । এটি একটি খুব সংক্ষিপ্ত এবং সহজ অনুচ্ছেদ রচনা। আমি মনে করি আপনি এটা আপনার জন্য পছন্দ করবেন। এই অনুচ্ছেদ রচনা মাত্র কিছু শব্দের। সমস্ত শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীরা এটি পড়তে এবং মনে রাখতে পারবে।
জাতীয় শােক দিবস রচনা |
জাতীয় শােক দিবস রচনা
বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মজিবর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আ সামরিক বাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাতে সপরিবারে তিনি নিহত হন। তাই এ দিনটিকে জাতীয় শােক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে দুষ্কৃতকারী কিছুসংখ্যক সামরিক অফিসার ক্ষমতালােভা। দেশবিরােধীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলুষিত করে। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির নীলনকশায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এর মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রবিরােধী রাষ্ট্র কায়েম করার অপচেষ্টা করে। সময়টি ছিল জাতির।
জন্য এক বিষাদময় অধ্যায়। শুধু হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি; বরং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ওই কালাে আইন বাতিল করে বিচারের পথ খুলে দেয়। সরকার ১৫ই আগস্টকে জাতীয় শােক দিবস হিসেবে ঘােষণা করার পর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। দিনটি। দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘােষণা করা হয়েছে এ উপলক্ষ্যে এই দিন নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়-- জাতির পিতার সমাধিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, আলােচনা অনুষ্ঠান। স্মরণসভা ও কাঙালিভােজেরও আয়ােজন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া সর্বস্তরের জনগণও তাদের প্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিভিন্নভাবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেন। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল এ উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়ােজন করে। এভাবে প্রতিবছর দিনটি পালন করা। তবে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমেই দিটি মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে।(জাতীয় শােক দিবস রচনা)