চিড়াতে কত ক্যালরি আছে | চিড়া খাওয়ার উপকারিতা
সরাসরি ধান থেকে চিড়া তৈরি হয়। এটি একটি সহজপাচ্য খাবার। ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায় এটি। কারণ, এটির পুষ্টিগুণ চালের কাছাকাছি। আমাশয়ে ও ডায়রিয়া চিড়া ভেজানো পানি খুবই উপকারী। দূরের যাত্রায় অথবা হাতের কাছে কোনো খাবার না থাকলে চিড়া বহন করা যেমন সুবিধা, খাওয়াও সহজ। কারণ, এতে জ্বালানির কোনো প্রয়োজন হয় না। চিড়া ভেজালে প্রায় চার গুণ বেড়ে যায়। যেমন ২০ গ্রাম চিড়া ভেজানোর পর প্রায় ৮০ গ্রাম ওজন হয়। সব বয়সে এবং সবখানে বসে চিড়া খাওয়া যায়। এটি দু–তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়।((চিড়া খাওয়ার উপকারিতা))
চিড়া নিয়ে কিছু কথা
ভেজা বা শুকনো দুই অবস্থায়ই চিড়া খাওয়া যায়। শিশু, যুবক, বয়স্ক সবাই খেতে পারে। পানি, দুধ, গুড়ের রস এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ খুব সহজে চিড়া শুষে নিতে পারে। শুকনো চিড়া গুড়ের পাটালি দিয়েও খাওয়ার রীতি আছে। এটা খুব সহজে হজম হয়। মিষ্টির দোকানগুলোতে দই-চিড়া একটি বহুল প্রচলিত খাবার।(চিড়া খাওয়ার উপকারিতা)
১০০ গ্রাম চিড়ায় আছে ৩৪৬ ক্যালরি, ৬.৬ গ্রাম আমিষ, ৭৭.৩ গ্রাম শর্করা, ২.০২ মিলিগ্রাম লোহা, ২৩৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস। এদিকে ১০০ গ্রাম চালে আছে ৩৪৯ ক্যালরি। গুড়ের সঙ্গে চিড়ার একটি চমৎকার সমন্বয় আছে। পেট ভরার জন্য এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে সারা দিনের খাওয়া থেকে চিন্তামুক্ত থাকা যায় অনেক সময়।
ভারত,বাংলাদেশ ও নেপালের পরিচিত খাবার হচ্ছে চিড়া। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায় একে চিড়িও বলা হয়ে থাকে। প্রায় সব ধরনের ধান থেকে চিড়া তৈরি হয়। তবে সালকেলি নামে এক ধরনের ধান থেকে লালচে ও সুস্বাদু চিড়া তৈরি হয়। সব ভাষাভাষী-জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে চিড়া সর্বজনীন। মূলত নিরামিষ খাবার হিসেবেই খাওয়া হয়। যেহেতু দেখতে চ্যাপ্টা, চাপ দিয়ে ধান চ্যাপ্টা করা হয়, তাই একে ইংরেজিতে বিটেন রাইস বা ফ্লাটেন্ড রাইস বলা হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চিড়াকে বিভিন্ন নামে ডাকে। যেমন----হিন্দিতে পোহা বা , কন্নড় ভাষায় আভালাক্কী,পাউয়া, গুজরাটিতে পাউয়া, রাজস্থানি ভাষায় পোয়া, তামিলে আভাল বলা হয়।(চিড়া তে কত ক্যালরি আছে )
চাল থেকে চিড়া তৈরি করা যায়। ধান পাঁচ থেকে চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সামান্য ভেজে ঢেঁকিতে কুটলে তৈরি হয়ে যায় আমাদের প্রিয় চিড়া। ইদানীং মেশিনেই ভাঙানো হয় চিড়া। চিড়া চালের থেকে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য। এমনকি চালের থেকে বেশি দিন ঘরে রাখা যায়। এটি সহজপাচ্য খাবার। ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়। কারণ পুষ্টিগুণ চালের কাছাকাছি। ডায়রিয়া ও আমাশয়ে চিড়া ভেজানো পানি খুবই উপকারী। চিড়া ভেজালে প্রায় চার গুণ বেড়ে যায়। ১০০ গ্রাম চিড়ায় আছে ৩৪৬ ক্যালরি, ৬.৬ গ্রাম আমিষ, ৭৭.৩ গ্রাম শর্করা, ২.০২ মিলিগ্রাম লোহা ও ২৩৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস। চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে বলে অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে উপকারী। এ ছাড়া এতে পটাসিয়াম ও সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত। তবে এতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকায় ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, যা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।(চিড়া খাওয়ার উপকারিতা)
চিড়া তে কত ক্যালরি আছে
- চিড়াতে শর্করা,আমিষ,ও স্নেহ থাকে।
- ১ কেজি চিড়ায় ৩৪৫২ ক্যালরী বা ১৪৪৯৮ জুল শক্তি পাওয়া যায়।
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা
- চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ক্রন'স ডিজিজ,ডায়রিয়া, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
- চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।