মজবুত ও স্বাস্থ্যকর চুল কিভাবে তৈরি করবেন 2021। How to create strong and Healthy Hair (চুলের টিপস)

 আমাদের মধ্যে কে না চাই তার যেন একটু মজবুত ও স্বাস্থ্যকর চুল হয়। তাদের চুল অনেক তাড়াতাড়ি ছিড়ে যায়। চুলকে কিভাবে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর চুল বানাতে হয়। তার জন্য আমাদের  এই অসাধারন পোস্ট।

মজবুত ও স্বাস্থ্যকর চুল তৈরি  করার টিপস


আখরোট, নারকেল,কাজুবাদাম  ও তেল ত্বক ও চুলের কোষের জন্য ইমোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এসব খাবার চুলকে চকচকে ও ময়েশ্চারাইজ করে।

ঘন,সুন্দর ও মজবুত চুল সবারই কাম্য। নানা রকম কেমিক্যাল ব্যবহার ও অতিরিক্ত ক্ষয়ের কারণে চুল দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া নানা রকম দূষণ, মানসিক চাপ,অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, রোগসহ নানা কারণে বর্তমানে প্রায় সব বয়সী মানুষেরই চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

চুল যদি শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাড় করতে না পারে, তাহলে মাথায় কেবল শ্যাম্পু-তেল দিয়ে চুল ঠিকঠাক রাখা যাবে না। খাবার গ্রহণের মাধ্যমে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে ঘন, মজবুত ও ঝকঝকে চুলের জন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ত্বক বিশেষজ্ঞদের ও ডাক্তারের মতে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর চুল  করতে আপনার খাদ্যতালিকায় যে খাবারগুলো রাখতে পারেন।কাজুবাদাম, আখরোট ও নারকেল তেল আপনার চুলের জন্য আরো সুন্দর হবে।

মজবুত ও স্বাস্থ্যকর চুল  করার আরো অনেক টিপস রয়েছে। তাদের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।

আপনাদেরকে বোঝানো কিভাবে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর চুল করা যায়।

  • চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
  • ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়
  • চুল ঘন করার তেলের নাম
  • চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান
  • চুল ঘন করার খাবার
  • শিশুর মাথার চুল ঘন করার উপায়


উপাদান ব্যাখা
বাদাম চুলের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, দস্তা ও ভিটামিন ই বাদামে উচ্চমাত্রায় থাকে। এক্ষেত্রে কাজুবাদাম, আখরোট ও নারকেল তেল ত্বক ও চুলের কোষের জন্য প্রাকৃতিক ইমোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এ খাবারগুলো চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর করে। পর্যাপ্ত ক্যালরি ও স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার আপনার পেশি ও হার্টকে সুস্থ রাখে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কসমেটিক ডার্মাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
বাদাম বর্তমানে এটা সম্ভবত ক্যারিবীয় সমুদ্রের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। হঠাৎ ওজন হ্রাস, প্রোটিন কম গ্রহণ,ফলমূলে ও তাজা শাকসবজি পাওয়া ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলোর পরিমাণ কমে গেলে চুল অস্বাস্থ্যকর হয়ে ঝরে পড়ে। নারীদের জন্য দিনে কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে বড় উৎস হতে পারে সামুদ্রিক চর্বিযুক্ত মাছ।
শাক সবুজ শাক ও পাতাজাতীয় শাকগুলো লৌহের বড় উৎস। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে লৌহ থাকে, যা চুল ঘন করতে সহায়তা করে। শাক শরীরে আয়রন বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ভিটামিন এ ও সি-র চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া শাকে থাকা কারটিন ফাইবার চুলে ফাইবার তৈরিতে সহায়তা করে।
ডিম ডিম প্রোটিন ও বায়োটিনের একটি বড় উৎস, যা স্বাস্থ্যকর চুল ও চুলের বৃদ্ধি উভয় কাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বায়োটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টির বিপাক করতে এনজাইমগুলোকে সহায়তা করে। এতে চুলের ফটিকগুলো পুষ্টি পায়। এছাড়া ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। এটি আমাদের শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে।



টাকে চুল গজানোর সহজ উপায়


টাকে চুল গজানোর জন্য আপনাকে নিচের জিনিস বা টিপস গুলো ফলো করতে হবে। টাকে চুল গজানোর সহজ উপায় আপনারা এখানে পেয়ে যাবেন।
আমলকীর ব্যবহারে নতুন চুল গজানোর উপায়

আমলকীকে চুলের ধনন্তরী বলা হয়ে থাকে। কেননা আমলকীতে উপস্থিত বিভিন্ন মিনারেলস্ চুলকে মজবুত করে ও চুল ঝড়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় হিসেবে আমলকী বেটে লাগালেও উপকার মেলে। এছাড়াও নতুন চুলের জন্য প্রাকৃতিক উপায় রূপে আমলকী ও কচি আমের আঁটি বেটে নিয়ে লাগাতে পারেন। এবং এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক মাস এই পদ্ধতি ফলো করলে দেখবেন নতুন চুল অবশ্যই গজাবে।

নতুন চুল গজানোর তেল তৈরির পদ্ধতি


চুল পড়ার সমস্যা মোটেই নতুন সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে নতুন চুল না গজানো। নতুন চুল গজানোর উপায় হিসেবে প্রাচীন কালে বিভিন্ন তেলের ব্যবহার হত। যা আধুনিক কালের রাসায়নিক মেশানো কোনো রেডিমেট তেল নয়। প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ এই তেল মাথায় চুল গজানোর অব্যর্থ জিনিস।নারকেল তেলে মেথি, লাউ এর সিড্ স,অ্যালোভেরা, ভৃঙ্গরাজ এর রস ,আমলকী ও জবা ফুলের কুঁড়ি দিয়ে ফুটিয়ে একটি তেল বানিয়ে ফেলুন।এরপর ঠান্ডা করে মিশ্রণ টিকে রোজ রোদে দেবেন। এই তেলটি ব্যবহার করে দেখুন ভালো ফল পাবেন।

পেঁয়াজের রস


চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রস দারুণ কাজ করে। শুধু চুল পড়া বন্ধ হবে, তাই নয় নতুন চুল গজাবেও। গোসলের এক ঘণ্টা আগে পেঁয়াজের রস চুলের গোঁড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। এরপর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আমলকী


চুলের গোঁড়ায় আমলকীর তেল ঘষে ঘষে লাগান। আধা ঘণ্টা রাখুন; তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মেথি


আধা কাপ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বেটে চুলে লাগান। ১ ঘণ্টা পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের কুসুম


ডিমের কুসুম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। চুলের গোঁড়ায় গোঁড়ায় তা লাগান। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেল তেল


নারকেল তেল সামান্য গরম করে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।


ধ্যানেই মাথায় চুল গজানোর উপায় নিহিত


বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে দুশ্চিন্তার হেয়ার ফল ও হেয়ার গ্রোথ রোধের অন্যতম কারণ। তাই দুশ্চিন্তা দূর করতে ধ্যান করুন এটি মাইন্ড কে রিফ্রেশ করবে।আপনি সতেজ ও ফুরফুরে থাকলে দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হয়ে প্রাকৃতিক নিয়মেই চুলের উদ্ভব হবে।আর চুল গজানোর মোক্ষম দাওয়াই হল পর্যাপ্ত ঘুম। তাই চেষ্টা করুন রোজ কম করে আট ঘন্টা ঘুমোতে।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url